হেডলাইনঃ
হেডলাইনঃ
সরাইলে  প্রয়াত দেওয়ান মাহবুব আলী কুতুব মিয়ার ৫২তম  স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত জগন্নাথপুরে মামুর হাতে ভাগনা খু্ন, ঘাতক মামা গ্রেপ্তার দোয়ারাবাজারে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বগুড়ায় রেলওয়ের ট্রেনের টিকিট বিক্রির উদ্বোধন জগন্নাথপুরে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী, থানায় মামলা দায়ের বগুড়ায় ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে ৪জন গ্রেফতার। দোয়ারাবাজারে স্কুল শিক্ষকের টিকটক ভিডিও ভাইরাল!সমালোচনার ঝড় দিরাইয়ে মহাযোগী শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৩তম তিরোধান দিবস পালন। মধ্যনগরে ইয়াবা ও মোটরসাইকেল সহ আটক -১ মধ্যনগরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে প্রবাসীর শিক্ষা উপকরণ সহায়তা

নীলফামারীতে গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষে প্রথমবারেই চমক

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ / ৩০ Time View
Update : শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩, ২:২৪ অপরাহ্ন
  • Print
  • নীলফামারীতে পরীক্ষামূলক গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষ করা হয়েছে। প্রথমবারেই তরমুজ চাষে সফল হয়েছেন সদর উপজেলার কৃষক সামসুল হক (৩৫)। কৃষি বিভাগের সহায়তায় চাষ করে প্রথমবারই সাফল্য পেয়েছেন কৃষকেরা। এতে অনেক কৃষকেরই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

    নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের উত্তর কানিয়ালখাতা গ্রামের কৃষক সামসুল হক। নিজের কৃষিজমি ২৬ শতক হলেও বাৎসরিক চুক্তি নিয়ে চার বিঘা জমিতে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল ফলান তিনি। এবার ১৫ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন গ্রীস্মকালীন তরমুজ।

    শুক্রবার জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়ালখাতা ও পৌরসভা এলাকার হাড়োয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মাচায় ঝুলছে হলুদ ও সবুজ রঙের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ।

    কৃষক সামসুল হক জানান, ১৫ শতক জমিতে লাগানো হয়েছে ১৫০টি গাছ। প্রতিটিতে গাছে পর্যাপ্ত পরিমান ফল এসেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফল বাজারে বিক্রি করা সম্ভব হবে।

    কাঙ্খিত ফল পাওয়ার কথায় তিনি জানান, প্রতিটি গাছ থেকে অন্তত ছয়টি করে ফল বিক্রি করা সম্ভব হবে। যার প্রতিটির ওজন কমপক্ষে তিন কেজি। সে হিসেবে এক হাজার ৮০০ কেজির অধিক তরমুজ পাওয়া সম্ভব। এতে করে বর্তমান বাজার দরে এক লাখ আট হাজার টাকা আসবে তার ঘরে। ১৫ শতক জমিতে তরমুজ চাষে তার খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। এতে করে তার লাভ হবে ৯২ হাজার টাকার অধিক। মাত্র ৮০ থেকে ৮৫ দিনে অন্য কোন ফসল থেকে ওই পরিমান আয় করা সম্ভব নয়।

    সরেজমিনে ওই কৃষকের জমিতে গিয়ে দেখা গেছে বাঁশের তৈরি মাচায় অসংখ্য ছোট বড় তরমুজ ঝুলতে। ওই জমিতে রোপণ করা হয়েছিল তৃপ্তি ও ব্লাক বেবি জাতের তরমুজ। এসব জাতের তরমুজের বীজ সরবরাহ করেছে সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ। এলাকায় গ্রীস্মকালে এ কৃষিটি নতুন হওয়ায় তাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

    এসময় কৃষক সামসুল হক বলেন, প্রত্যেক বছর বেগুন, ফলন খুব ভালো দেখা যাছে। এলাকাত নয়া আবাদ দেখিবার জন্যে দূর থাকি মানষি আইসেছে। ফল দেখিয়া আশে পাশের কৃষক আবাদ করিবার চাছে।

    একই গ্রামের কৃষক এছাহাক আলী শাহ ফকির (৪৫) বলেন, এইবার সামসুল হক তরমুজ আবাদ করি হামাক তাক লাগে দিছে। হামেরা মিষ্টি কুমড়া, পোটল, বেগুন আবাদ করি যে লাভ পাই, তরমুজ আবাদে তার তিনগুণ লাভ হোবে। এলাকার অনেক কৃষ এলা তরমুজ আবাদ করিবার চিন্তা করেছে।

    সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষ লাভজনক। সাধারণত তরমুজের গাছ লাগাতে হয় শীত মৌসুমে। কিন্তু নীলফামারী জেলা শীত প্রবণ হওয়ায় এখানে অতি শীতে তরমুজের গাছ মরে যায়। একারণে অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় এখানে তরমুজ চাষ হয় না। এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের উপযোগী হওয়ায় গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষ করা সম্ভব। তাই এবার পরীক্ষামূলকভাবে সদর উপজেলার তিনটি ব্লকে তিনজন কৃষকে দিয়ে ৩৪ শতাংশ জমিতে গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় আগামীতে এর সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

    সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম রাকিব আবেদীন জানান, এবার গ্রস্মিকালীন দুটি জাতের তরমুজের পরীক্ষামূলক আবাদ করা হয়েছে। এ জাত দুটির মধ্যে একটি তৃপ্তি, অপরটি ব্লাক বেবি। এ দুটো জাতের ভেতরের অংশ স্বাভাবিক সময়ের তরমুজের চেয়ে অধিক লাল। মিষ্টতার দিক থেকেও অতুলনীয়। এক সপ্তাহের মধ্যে তরমুজ বাজারজাত করা যাবে। বর্তমান বাজারে ওই তরমুজ সর্বনিম্ন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেবে এক বিঘা জমির তরমুজ বিক্রি করা যাবে দুই লাখ টাকার ওপরে। কৃষকদের তরমুজ বাগান দেখে আশপাশের কৃষকরাও তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আশা করছি আগামীতে এ অঞ্চলে ব্যাপকহারে গ্রীস্মকালীন তরমুজের চাষ বাড়বে। এবার আমার ব্লকসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহফুজার রহমান এবং মো. গোলাম জাকারিয়ার ব্লকে ৩৪ শতকের আবাদ হয়েছে ।

    সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ বলেন, গ্রীস্মকালীন তরমুজ উচ্চ মুল্যের ফসল। এ অঞ্চলে বেলে দো-আশ মাটিতে এ জাতের তরমুজ চাষের উপযোগী। আমরা প্রথমবারের মত এর চাষ করে সফল হয়েছি। এমন সফলতায় এলাকায় এ কৃষির সম্ভানার দ্বার উন্মোচন হলো। এ সময়ে ব্যাপক তরমুজ চাষে হলে এলাকার কৃষকের ভাগ্য খুলে যাবে।

    তিনি বলেন, তরমুজের মূল সমস্যা শীত। এ অঞ্চলে শীত বেশি হওয়ার কারণে স্বাভাবিক সময়ের তরমুজ এ অঞ্চলে হয় না। কিন্তু গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষে যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষে লাভ বেশি। গাছ রোপণের ৮০ দিনের মধ্যে ফলন বাজারজাত করা যায়। এটি যেমন রসালো, তেমনি সুমিষ্ট।


    আপনার মতামত লিখুন :

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    More News Of This Category
    এক ক্লিকে বিভাগের খবর
    Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com
    Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com