সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নে কাওয়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের উপর,পরিকল্পিত ভাবে হামলা করেছে,এমন অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের একটি চক্রের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ফুটবল খেলার গোলবার(বাঁশ) নিখোঁজের অভিযোগ তুলে সানুয়া গ্রামের কয়েক খেলোয়াড়গন। ঐ গ্রামে মৃত সুধীর সরকারের ছেলে শিক্ষক নিশিকান্ত সরকার ওরফে ভুষন’মাস্টার(৫১)র নামে। সংবদ্ধ চক্রের নির্দেশনায় শিক্ষককে মানহানিকর শ্লোগানে মিছিল দেয় ১২মে শুক্রবার ঐচক্রটি। প্রত্যাক্ষদর্শীদের ও ভুক্তভোগী শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায় মিছিলের পরদিন১৩মে শনিবার শিক্ষক নিশিকান্ত সরকার@ভূষন গোপন সংবাদে জানতে পারেন তাকে কেউ হামলা করতে পারে এমন তথ্যের পর মধ্যনগর থানায় লিখিতভাবে অবগত করেন।ঠিক এদিন বিকেলে থানা থেকে বংশীকুন্ডা বাজার ভায়া হয়ে বাড়িতে ফেরার পথে সানুয়া গ্রামের চঞ্চল সরকারের বাড়ি সংলগ্ন কাচা রাস্তায় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায় শিক্ষকের উপর।যাতায়াতের মোটরসাইকেলের চাবী কেড়ে নিয়ে শিক্ষক নিশিকান্ত’কে বেধরক মারধর চালাতে থাকে।চালক রাজীব হোসেন ও সঙ্গী গুলে নুর মিয়াকে প্রাণ বাঁচতে চাইলে পালাও বলে হুমকী পদর্শন করলে,দুজন নিজেকে বাচিয়ে সরে যান।এসময় একাধিক সদস্যের বিরোধীচক্রে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে হাতে,পায়ে ও পিঠে জকমী হয়ে অজ্ঞান হন শিক্ষক নিশিকান্ত সরকার।সঙ্গীদের তথ্যেসূত্রে নিজ পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা শিক্ষককে অজ্ঞানাবস্তায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান বলে জানান শিক্ষক নিশিকান্ত।আরো বলেন আমার উপর মারধর এটি সম্পুর্ন পরিকল্পিত।এছাড়াও আমার পরিবার সহ আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো। ১৬ই মে মধ্যনগর থানায় ১৪জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ঐ আহত শিক্ষককের ভাই সত্যরঞ্জন সরকার।এবং ১৭মে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হয়।অভিযোগ সুত্রে জানা যায় অভিযুক্ত ৬নং আসামী একই গ্রামের সুবোধ সরকারের নির্দেশে এহেন হামলা স্বীকার বলে দাবী করছেন আহত শিক্ষক নিশিকান্ত সরকার(৫১)।তিনি আরো জানান সুবোধের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে পুর্ব থেকে বিরোধিতা রয়েছে।গ্রামের সুবোধ সরকারের সাথে কথা বললে তিনি জানান-নিশিকান্ত সরকার আমার প্রতিবেশী নয় শুধু আমার আত্বীয় ছিলেন।কিন্তু বিগত ১৫বছর পুর্ব থেকে সে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় তার সাথে সম্পর্কের ঘাটতি রয়েছে।যা এলাকার ৮থেকে ১০গ্রামের মানুষ কুকর্ম সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।অন্যায়ের মুলক কাজের সহযোগিতা না করায় সে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।মামলায় আমার হুকুম দারী অভিযুক্ত করে। অথচ ঐদিন আমি নেত্রকোনা জেলা সদরে ছিলাম।যার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের সিসি ফুটেজ রয়েছে।কর্মরত কাওয়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মোঃআব্দুল কবির তিনির সাথে কথা বলেলে তিনি বলেন-আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিশিকান্ত’র নামে একাধিক অভিযোগ যদিও থাকে,দেশে আইন রয়েছে তারা আইনের আশ্রয় যেতেন।সে ক্ষেত্রে দলবদ্ধ ভাবে হামলা করাটা অবশ্যই নিন্দনীয়।শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদ জানাই। মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃজাহিদুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন-আইনী সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে সকলের।শিক্ষকের পক্ষে অভিযোগ পেয়েছি।তদন্তকরে তাৎক্ষণিকভাবে ৩জনকে গ্রেফতার হয়েছে।এবং ৭জন আদালতে জামিন নিয়েছে আর বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।