জগন্নাথপুরের পল্লীতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নাজমা(১৮) নামক এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাড়ারগাঁও গ্রাম নিবাসী আব্দুল ছালাম এর বাড়ীতে বেশ কিছু দিন ধরে শান্তিগঞ্জ উপজেলার গাজীনগর গ্রাম নিবাসী মৃত ওয়ারিস আলীর মেয়ে নাজমা বেগম(১৮) ভূয়ার কাজ করে আসছিল। ২০ শে মে রোজ শনিবার সে ঐ পরিবারের সাথে সকালের খাওয়া দাওয়া করে। বেলা প্রায় ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে কোনো এক সময়ে আব্দুস ছালাম এর বাড়ীর বাথরুমের সাওয়ারের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নাজমা বেগম (১৮) আত্মহত্যা করেছে। বাথরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) এএসপি শুভাশিষ ধর এর নেতৃত্ব জগন্নাথপুর থানার এসআই সাব্বির সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাথরুমের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। এবং নাজমা বেগম (১৮) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। এসময় কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিক মিয়া, মেম্বার মসিক আহমদ ও সাবেক মেম্বার মোঃ তারা মিয়া সহ আরো অনেকে।
এ ব্যাপারে আব্দুস ছালামের পরিবার এর লোকজন জানান, সকালের খাওয়া দাওয়া শেষে নাজমা বেগম (১৮) নিজ শয়ন কক্ষে চলে যায়। কাজের জন্য খুজতে গিয়ে তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রুমের ভিতরে খোঁজাখোঁজির এক পর্যায়ে বাথরুমের সামনে নাজমা বেগমের জুতা দেখতে পান। এবং অনেক ডাকাডাকির পর সাড়াশব্দ না পেয়ে বাথরুমের ব্যান্ডেলেটরের ফাঁক দিয়ে দেখতে পান সাওয়ারের সাথে নাজমা বেগম ঝুলে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
এবিষয়ে সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) এএসপি শুভাশিষ ধর জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পাড়াগাঁও গ্রামের আব্দুস ছালাম এর বসত ঘরের বাথরুমের দরজা ভেঙে নাজমা নামক কিশোরীর যুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আত্মহত্যার কারন জানাযায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে।