হেডলাইনঃ
হেডলাইনঃ
সরাইলে  প্রয়াত দেওয়ান মাহবুব আলী কুতুব মিয়ার ৫২তম  স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত জগন্নাথপুরে মামুর হাতে ভাগনা খু্ন, ঘাতক মামা গ্রেপ্তার দোয়ারাবাজারে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বগুড়ায় রেলওয়ের ট্রেনের টিকিট বিক্রির উদ্বোধন জগন্নাথপুরে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী, থানায় মামলা দায়ের বগুড়ায় ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে ৪জন গ্রেফতার। দোয়ারাবাজারে স্কুল শিক্ষকের টিকটক ভিডিও ভাইরাল!সমালোচনার ঝড় দিরাইয়ে মহাযোগী শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৩তম তিরোধান দিবস পালন। মধ্যনগরে ইয়াবা ও মোটরসাইকেল সহ আটক -১ মধ্যনগরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে প্রবাসীর শিক্ষা উপকরণ সহায়তা

এখনো চোখে পড়ে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঙ্গল ও গরুর হাল চাষ।

মশিয়ার রহমান নীলফামারী প্রতিবেদক: / ৪২ Time View
Update : শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩, ২:২১ অপরাহ্ন
  • Print
  • কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ। দেশের ৮০ ভাগ লোক একসময় কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এক টুকরো লোহার ফাল দিয়ে তৈরি লাঙল, জোয়াল আর বাঁশের তৈরি মই ব্যবহার করে জমি চাষাবাদ করতেন তারা। স্বল্প মূল্যের এই কৃষি উপকরণ এবং গরু দিয়ে শত শত বছর ধরে কৃষি জমি চাষ করছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা।যান্ত্রিক আগ্রাসনে ও বৈজ্ঞানিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহারে কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষাবাদ। আশির দশক থেকে বাংলাদেশের কৃষিতে পরিবেশ বান্ধব লাঙ্গল-জোয়ালের জায়গা দখল করে নিয়েছে যান্ত্রিক পাওয়ার টিলার আর ট্রাক্টর।এই অত্যাধুনিক যুগেও নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝুনাগাছচাপানী(মুনাকাশা) গ্রামের মাঠে আফজাল হোসেন(৭৫)বছর বয়সী বৃদ্ধের লাঙ্গল-গরু দিয়ে হালচাষ করার চিত্র চোখে পড়ে।এক সময় গরুর হাল ছাড়া কৃষকের জমি প্রস্তুতের কথা চিন্তাই করা যেত না। এতে পেশাদার হালুয়ারা (হাল মালিক) সকালে উঠে হাতে নিতেন দুই গরু। আর ঘাড়ে লাঙ্গল-মই ও জোয়াল নিয়ে ছুটে যেতেন মাঠে। দুই গরুর ঘাড়ে জোয়াল এর মাঝখানে দিতেন লাঙ্গলের লম্বা ইঁশ। হালুয়ার ইশারায় চলতো গরুগুলো।দিনভর চাষ শেষে কাদা সমান করতে ব্যবহৃত হতো মই। জোয়ালের দুই পাশে দুটি লম্বা রশি লাগাতেন মইয়ের সঙ্গে। এই মইয়ের মাঝখানে উঠতেন হালুয়া। ইঙ্গিতে চলতো গরু, সমান হতো জমি।দক্ষিণ ঝুনাগাছচাপানী(মুনাকাশা) এলাকার পেশাদার হাল মালিক (হালুয়া)আফজাল হোসেন(৭৫) বলেন, এক সময়ে অন্যের জমিতে হালচাষ করে পরিবারের ভরণ-পোষণ করতেন। পূর্বপুরুষের এই পেশা ছাড়েননি তিনি। এখন নিজের জমিতে হাল চাষ করেন।ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ ঝুনাগাছচাপানী (মুনাকাশা)এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ছোট ছোট উঁচু-নিচু জমি চাষ যা কখনো পাওয়ার ট্রলি ও দিয়ে সম্ভব হয় না। এসব জমি চাষে এখনো লাঙলের হাল ব্যবহার করা হয়। মানবাধিকার কর্মী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, লাঙলের হাল দিয়ে জমি চাষে অনেক সময় অর্থ ব্যয় হয় কৃষকের। এখন প্রযুক্তিতে অল্প সময় ও অর্থ খরচ করে অনায়াসে জমি চাষ করতে পারেন।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে কমছে কৃষি জমি। এক সময়ের কৃষকের সঙ্গী লাঙ্গল, জোয়াল ও মই এসব হয়তো এক সময় চির বিশ্রামে গিয়ে জাদুঘরে স্থান পাবে আর পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাংলার কৃষি যুগের গৌরব মনে করিয়ে দেবে।


    আপনার মতামত লিখুন :

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    More News Of This Category
    এক ক্লিকে বিভাগের খবর
    Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com
    Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com