সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে গ্রামবাসীর হাতে ৩ডাকাত আটক হয়েছে।পরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের বিষাড়া গ্রামবাসী।আটককৃতরা হলেন তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামের শওকত আলীরপুত্র সোহরাব মিয়া(২৬),ফজলুল হকে’রপুত্র ইমরান মিয়া(৪০),তাহের আলীর পুত্র মহিবুল মিয়া(৫০)।
৭ইমে রোববার সকালে কলমাকান্দা উপজেলা হতে আগত মুদিদোকানী ব্যাবসায়ী যথানিয়মে নৌকাযোগে রওনা হন কলমাকান্দা যাওয়ার উদ্দেশ্যে মিল্টন সাহা(৫২)নামের ব্যাবসায়ী।নৌযোগে রওনার সাথে সাথে তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর বাজার থেকে নদীরদুপাড়ে উদপেতে থাকা ৬সদস্যের ডাকাত দলে পিছুনেয় ব্যাবসায়ী।
ব্যাবসায়ী মিল্টন সহা ও আটকারী গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,মধ্যনগর সীমানায় মুক্তিরবিল এলাকায় এসেতারা করে ব্যাবসায়ীকে।ব্যাবসায়ী মিল্টন সাহা আত্মরক্ষার জন্য পুকরার ঘাটে উঠে এবং দৌড়তে থাকে।প্রথমে মিল্টন সাহাকে ৩জনমিলে আটক করে ও অপর ৩জন নদীর ঐপাড় থেকে এসে যোগ হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মিল্টনের বাম হাতে ও ডান পায়ে কুপিয়ে জকম করে।এবং ব্যাবসার নগদ ২লক্ষ ৯১হাজার২শত টাকা সহ হাতে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় ৬সদস্যের ডাকাত দল।
পরক্ষণেই কানামিয়ার বিলের তাফনার বাঘ এলাকায় টাকা বন্টনের সময ডাকাতদের এলোপাতাড়ি কথা ও চলাফেরায় দরাপপুর ও বিষাড়া এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে মোবাইল ফোনে তথ্যের মাধ্যমে চারিদিকে জানিয়ে দেয়এবং ৩জনকে ঘেরাও করে এলাকার লোকজন।পরে মধ্যনগর থানা পুলিশকে জানালে অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহিদুল হক ফোর্সনিয়ে ৩জনকে আটক করেন।আটককৃতদের কাছ থেকে মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহিদুল হকের তথ্যানুযায়ী নগদ ১লক্ষ৪৭হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।অপর ৩জন পালিয়ে যায়।মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহিদুল হক জানান ৩জনকে আটক করা হয়েছে এবং অপর ৩জন গা’ঢাকা দিলেও রেহাই পাবে না।অবশ্যই দ্রুত গ্রেফতার সক্ষম হবে মধ্যনগর থানা পুলিশ।