যোগলনগর – কৈতক সড়কের বেহাল দশা, জ
জগন্নাথপুরের যোগলনগর পয়েন্ট হইতে ছাতকের কৈতক পয়েন্ট পর্যন্ত সংযোগ স্থাপনকারী প্রায় ২৪ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার পাশা-পাশি তিনটি ব্রীজের এ্যাপ্রোচে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন চালক ও জনসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে পড়েছেন।
৬ ই মে রোজ শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায় ও জানাযায়, সুনামগঞ্জের পাগলা জগন্নাথপুর – আউশকান্দী আঞ্চলিক মহাসড়ক এর যোগলনগর পয়েন্ট হতে প্রায় ২৪ কিলোমিটার যোগলনগর – কৈতক সড়কের জগন্নাথপুর অংশে যোগলনগর পয়েন্ট এর পূর্ব পার্শ্বের কালভার্ট ব্রীজের উভয় পার্শ্বের এ্যাপ্রোচো বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাদা পানিতে একাকার হয়ে আছে ও এ্যাপ্রোচ ধেবে গেছে। এবং ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত ব্রীজের এ্যাপ্রোচের উভয় পার্শ্বের এ্যাপ্রোচের পিচ ধেবে গেছে এবং একই উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত কামারগাঁও বাজার সংলগ্ন কামারগাঁও বড়খাল নামক খালের উপর অবস্থিত ব্রীজের এ্যাপ্রোচের মাটিতে বড় বড় গর্ত রয়েছে। এবং কামারগাঁও বাজার হইতে কৈতক পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাদা পানিতে একাকার হয়ে আছে। যার ফলে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন কাজে জীবন -জীবিকার তাগিদে জগন্নাথপুর ও ছাতক উপজেলার দক্ষিনাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ যানবাহনে বিভাগীয় শহর সিলেট, জেলা শহর সুনামগঞ্জ ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এব্যাপারে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সিএনজি গাড়ী চালক আনোয়ার হোসেন, আনর মিয়া ও রিপন মিয়া সহ একাধিক যানবাহন চালক তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিত্যপ্রয়োজন মেটাতে, জীবন জীবিকার তাগিদে অনেক কষ্টে এই সড়ক দিয়ে জীনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাচ্ছি। গাড়ীর চাকার চাপে গর্তে জমে থাকা কাদা- পানি পথচারীদের গায়ে ছিটকে পড়ছে। এতে অনেক সময় বিভিন্ন কথাবার্তা শুনতে হচ্ছে। কি করব জীবনতো চালাতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, তিনটি ব্রীজের এ্যাপ্রোচের অবস্থা খুবই নাজুক। এ্যাপ্রোচে গর্তের সৃষ্টি হওয়ার পাশা-পাশি ধেবে গেছে। এতে ব্রীজ পারাপারে ভীষণ সমস্যা হচ্ছে। কিছু দিন আগে কংক্রিট পেলে এ্যাপ্রোচের গর্ত ভরাট করলেও বৃষ্টি -বাদল হওয়ায় আবারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর কামারগাঁও বাজার হইতে কৈতক পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশের পিচ উঠে বড় বড় গর্ত গুলো কাদা-পানিতে একাকার হয়ে আছে। বিগত বন্যায় এই সড়কের ঐ অবস্থা হলেও আজো অবদি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ব্রীজের এ্যাপ্রোচ সংস্কার সহ সড়কের সংস্কারকাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।
এবিষয়ে একান্ত আলাপকালে যানবাহন যাত্রী ও পথচারীরা কষ্ট ভরা মনে বলেন, অতি কষ্টে কাদ -পানি মারিয়ে চলাচল করছি। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষক /শিক্ষার্থীরাও অসুবিধার সম্মূখীন হচ্ছেন। জনস্বার্থে ব্রীজের এ্যাপ্রোচ ও সড়কের সংস্কারকাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।