মোঃ ইদু খান স্টাফ রিপোর্টারঃ
হাতি দিয়ে চলছে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি। কখনো সড়কে দাঁড়িয়ে আবার কখনো ছোট-বড় বাজারে ঢুকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে। কেউ কেউ খুশি হয়ে টাকা দিলেও অনেকে হাতির ভয়ে বা চক্ষুলজ্জার খাতিরে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে। এভাবে টাকা আদায় করছেন মিলনগঞ্জ বাজারে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে হাতি দিয়ে টাকা আদায় করছিলেন হাতি ওয়ালা। তিনি বলেন, সার্কাস খেলায় হাতি নিয়ে এসেছেন। এর ফাঁকে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলায় গিয়ে এভাবে টাকা তুলি। তবে এর একটি অংশ হাতির মালিককে দিতে হয় বলে দাবি করেন তিনি।
বাজারের ব্যবসায়ী ও দৈনিক জনতার কণ্ঠ বার্তা সম্পাদক জনাব এস এম উমেদ আলী বলেন, ইচ্ছা না থাকলেও দোকানের সামনে হাতি এসে গেলে টাকা দিতে বাধ্য হই। কেননা চক্ষুলজ্জা বলেও তো একটা কথা আছে। তবে মিলনগঞ্জ বাজারে হাতি দিয়ে টাকা তোলার জন্য বণিক সমিতির কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেন না বলে জানান দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের মিলনগঞ্জ বাজারের সভাপতি জনাব ফখরুল ইসলাম আলা মিয়া।
চাঁদাবাজির বিষয়ে হাতির মালিকের মোবাইল নাম্বার চাইলে দিতে বাধ্য হয়নি ঐ চাঁদাবাজি হাতির সাথে থাকা লোকটি। তিনি বলেন, আমাদের হাতি দেখতে মানুষ ছুটে আসে। খুশি হয়ে যে যা দেয় তাই নেয়া হয়।
এ বিষয়ে দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মানুন বলেন, এভাবে টাকা আদায় করা অন্যায়। আমরা বিষয়টি নলেজে নিচ্ছি। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।