এস এম উমেদ আলী//
দীর্ঘ ৪০ বছর পর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে সিজারিয়ান অপারেশন চালু হয়েছে।
২২শে ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুরে দুই প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম হয়। সিজারিয়ান অপারেশন চালু হওয়ায় দিরাইয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে!
১৯৮৩ খ্রিঃ হতে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম চালু হওয়া পর এই হাসপাতালটিতে গতকালই প্রথম সিজারিয়ান সেকশন এর মাধ্যমে দুটি বাচ্চার জন্ম হলো। মা ও বাচ্চা উভয়ই সুস্থ আছেন বলে জানান পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর দিরাইয়ের কর্মকর্তা ডাক্তার ইয়াসিন আরাফাত।
প্রসুতিরা হলেন দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের লৌলারচর গ্রামের প্রশান্ত হাজরার স্ত্রী মনি হাজরা ( ২৩) নবজাতক কন্যাশিশুর ওজন ৩.৫০ কেজি।
অন্যজন হলেন দিরাই পৌরসভার দাউদপুর এলাকার জসীমউদ্দীনের স্ত্রী লুৎফা বেগম। নবজাতক কন্যাশিশুর ওজন ৩ কেজি।
সুনামগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন, ডাক্তার আহম্মদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন
অবচেতনবিদ হিসেবে ছিলেন ডাঃ মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য,সহকারি সার্জন হিসেবে ছিলেন ডাঃ সানজিদা শারমিন ও ডাঃ ফারজানা আফরিন।
সিনিয়র স্টাফ নার্স মিডওয়াইফসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই। সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতায় সফলভাবে অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার রায়হান উদ্দিন ও প্রসূতি ওয়ার্ডের ইনচার্জ খাদিজা আক্তার জানান এই প্রাপ্তি, আনন্দ ও সফলতা শুধু চিকিৎসকদের নয় গোটা দিরাইবাসীর। উন্নত চিকিৎসা ও মানোন্নয়নে রুগীদের সেবাদানই একজন ডাক্তার ও সহযোগীদের বড় প্রাপ্তি।
উক্ত সফলতায় সুনামগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন, দিরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও সহযোগী সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান দিরাইয়ের সুশীল সমাজ। এই চিকিৎসা দ্বারা আরও উন্নত ও প্রসারিত করতে ও রাখতে মাননীয় সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়কে আহ্বানও জানান।